বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১১-১৫ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ৫ হাজার ৫১ কোটি টাকা। পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে ৫৩.৫৭ শতাংশ। তবে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে প্রায় ২১ পয়েন্ট। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪০ হাজার টাকা। সপ্তাহের শুরুতে উদ্বোধনী মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১ কোটি ৩০ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৭২ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫১ কোটি ১০ হাজার টাকা।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৫৩.৫৭।
বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৮২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৫৩.৫৭ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে ছিল ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্ট। সূচক কমেছে ২০.৯৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির এবং ২৭৮টির দর কমেছে।
বিদায়ী ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭.৮৩ শতাংশ।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির প্রতিদিন গড়ে ৬৫ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.০৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৬৫ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৩৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রবি আজিয়াটার ৩৩ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের ৩২ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের ২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, টেকনো ড্রাগসের ২২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইউনিলিভার কনজিউমারের ২০ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং এবি ব্যাংক পিএলসির ১৯ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৩.৯৯ শতাংশ কমেছে।
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১৩.৯৫ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ১৩.৮৪ শতাংশ, সোনালী পেপারের ১৩.৬৮ শতাংশ, গেস্নাবাল হেভি কেমিক্যালসের ১৩.৫১ শতাংশ, এমারেল্ড ওয়েলের ১৩.৪৬ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ১৩.৪৩ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ১৩.২৭ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ১৩.২৪ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১৩.১১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪৭.২৭ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৩০.২১ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ২৪.৩৯ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ২২.৫২ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ২২.২২ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ২২.২২ শতাংশ, হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালসের ২২.০০ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেস্ট লিমিটেডের ২১.৪৩ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ২১.৪৩ শতাংশ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২১.২৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।