এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংকসহ ৯ ব্যাংকের ইসু্যকৃত এক কোটি বা তার বেশি টাকার চেক স্ব স্ব ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স বন্ধ থাকবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে টাকা না থাকলেও অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে চেক ক্লিয়ারিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুবিধার ফলে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়।
বর্তমানে এস আলম গ্রম্নপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮ ব্যাংকসহ ৯ ব্যাংক চরম আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে। এসব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর এবং এসএলআর বজায় রাখতে পারছে না। ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবেও (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। এসব ব্যাংক আমানতের চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়ায় সেগুলোর চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও বেড়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। গ্রাহককে সেবা আর আর্থিক সূচকেও অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে এগিয়েছিল ব্যাংকটি। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকে 'জামায়াতমুক্ত' করার উদ্যোগ হিসেবে মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। এক সময় ঋণের চেয়ে আমানতের পরিমাণ বেশি থাকলে এখন উল্টো চিত্র। ব্যাংকটির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রম্নপ। এরপরই শুরু হয় অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা। সাড়ে ৭ বছরে ভুয়া ঋণ, জামানতবিহীন ঋণসহ নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে এস আলম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রম্নপ।