শিল্পকারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
চলমান পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পসহ বাংলাদেশের সব শিল্পকারখানা স্বাভাবিক নিয়মে চালু রাখতে উদ্যোক্তারা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তা সমাধানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার বিজিএমইএ-এর উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিএমইএ দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। আর নবম পদাতিক বিভাগের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার, বিটিএমএ সভাপতি (ইনচার্জ) মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়া ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবুর রহমান, সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স কমান্ডার কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং বিজিবি ওর্ যাব প্রতিনিধিরা। বিজিএমইএ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জীবনের সাম্প্রতিক সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধৈর্য ও বিচক্ষণতা সহকারে যেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আজকের মধ্যে গাজীপুর এলাকার ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ কারখানা, সাভার-আশুলিয়া এবং ধামরাই এলাকায় ৯৯ দশমিক ৫১ শতাংশ কারখানা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১০০ শতাংশ কারখানা, ডিএমপি এলাকায় ১০০ শতাংশ কারখানা, চট্টগ্রাম এলাকায় ১০০ শতাংশ পোশাক কারখানা খুলে গেছে। বৈঠকে দেশের শিল্পকারখানাগুলোর বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। আলোচনায় বলা হয়, পোশাক শিল্প অধু্যষিত শিল্পাঞ্চলগুলোতে গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। ঝুট সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার করতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে গড়ে উঠেছে একাধিক সন্ত্রাসী দল, যারা ওইসব এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকার পরিবেশ অশান্ত রাখছে, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। পোশাক শিল্প এদের হাতে জিম্মি। শিল্পকে এদের হাত হতে মুক্ত করার জন্য পোশাক ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।