ফ্লোর প্রাইস মুক্ত হচ্ছে শেয়ারবাজার
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) মুক্ত হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। অবশিষ্ট ছয় কোম্পানির ওপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ ও বুধবার দুই ধাপে এই ছয় কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। এতে করে পুঁজিবাজারে আর কোনো কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকছে না।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত স্থান থেকে ওই অফিস আদেশে সই করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অফিস না করলেও হঠাৎ করে নির্বাহী আদেশে ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেন। তিনি কোথায় থেকে ওই আদেশে সই করেন, তা বলতে পারছেন না বিএসইসির কর্মকর্তারা।
পরে এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, 'বৃহস্পতিবারই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিকাল ৫টার পর তিনি (শিবলী রুবাইয়াত) সই করেছেন। অফিসে এসে করেছেন নাকি বাসা থেকে করে পাঠিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। অফিসিয়ালি আমার কাছে এটি পাঠানো হয়নি। অন্যদের মাধ্যমে আমি পরে জানতে পারি।'
কমিশন সভার অনুমোদন ছাড়া তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, 'কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি এর আগেও ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্তে সই করেন। এ ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি। এবারও তাই করেছেন।'
কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। আর ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।
পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস হলো, শেয়ারের বেঁধে দেওয়া দর। অর্থাৎ, ওই দামের নিচে শেয়ার দর নামতে পারবে না।
সর্বশেষ দফায় আরোপিত ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম দফায় গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানির ওপর বহাল রেখে বাকিগুলো থেকে তুলে নিয়েছিল কমিশন। আর দুই কার্যদিবসের মাথায় ২২ জানুয়ারি ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি রেখে আরও ২৩টির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এরপর ৬ ফেব্রম্নয়ারি আরও ৬টির তুলে নেওয়া হয়। সেগুলোর মধ্যে রেকর্ড ডেটের দিন ফ্লোর উঠে যায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার। আর আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা ও রেনেটার ওপর থেকে তাৎক্ষণিক তুলে নেওয়া হয়। এতে ৬টি কোম্পানি এত দিন ফ্লোর প্রাইসে আবদ্ধ ছিল, তা আর রইল না।