টাকা পাচার ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন বন্ধে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে টাকা পাচার, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন বন্ধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) কোনো ব্যাংক থেকে কোনো গ্রাহক যাতে মাত্রাতিরিক্ত টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানি লন্ডারিং প্রতিপালন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএফআইইউ-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর কাছে কোনো গ্রাহকের লেনদেন বা টাকা তোলার বিষয়ে কোনো সন্দেহ হলে ওই লেনদেন স্থগিত করতে পারবেন। এখনকার কোনো লেনদেনের মাধ্যমে যাতে টাকা পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন করার মতো কোনো ঘটনা না ঘটতে পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে বৈঠকে আরও বলা হয়, ব্যাংকারদের অবহেলার কারণে কোনো গ্রাহক যদি অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা তুলে নিয়ে তা পাচার করে বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহার করে এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা যাতে তাদের হিসাব থেকে নগদ সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না পারে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তবে অনলাইন ব্যাংকিং বা ডিজিটাল মাধ্যমে তারা এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে বা ব্যাংকে যে কোনো অঙ্কের টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না। এই বিধিনিষেধ শুধু বৃহস্পতিবারের জন্যই প্রযোজ্য ছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর বাড়বে কি না, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কিছু বলা হয়নি। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তারা যদি নতুন কোনো নির্দেশনা দেন সে আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালানোর পর মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশত্যাগের ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে অনেকে মাত্রাতিরিক্ত টাকা তুলে তা নগদ আকারে নিয়ে যাচ্ছিলেন।