বিশ্বে শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি ভিয়েতনাম। তবে দেশটির কৃষকরা সম্প্রতি আরও লাভজনক ফসল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন। তাই ধান আবাদযোগ্য জমি দিন দিন কমছে ভিয়েতনামে। এছাড়া জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় ধান আবাদ কমছে। এসব কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে ভিয়েতনামের চাল উৎপাদন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস)। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।
এফএএস জানায়, ভিয়েতনামে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ধানের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ হতে পারে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর, আগে যা ছিল ৭১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এ সময় ভোগ্যপণ্যটির উৎপাদন হতে পারে ২ কোটি ৬৫ লাখ টন। আগের বিপণন বর্ষে এ পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭০ লাখ টন।
এফএএস আরও জানায়, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ভিয়েতনাম ৭৯ লাখ টনেরও বেশি চাল রপ্তানি করতে পারে। স্থিতিশীল উৎপাদন, ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে থাকতে পারে দেশটি। এ সময় দেশটিতে ব্যবহার পৌঁছতে পারে ২ কোটি ১৪ লাখ টনে, আগের বছর যা ছিল ২ কোটি ২০ লাখ টন। এফএএস জানায়, দেশটির ভোক্তাদের আয় বেড়ে যাওয়ায় তারা খাবারে বৈচিত্র্য আনছে। এ কারণে দেশটিতে মাথাপিছু চালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে।