বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে আতঙ্কে ঢাকা শহরের অধিকাংশ বিপণিবিতান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক এলাকার পাড়ামহলস্নার মুদি, চায়ের দোকানও বন্ধ রাখতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে রোববার সকাল থেকে ঢাকা শহরের সব এলাকার বিপণিবিতান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের চলমান এই পরিস্থিতির কারণে এভাবে যদি আরও কিছুদিন বিপণিবিতান বন্ধ থাকে তা হলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। অবিলম্বে এই পরিস্থিতির অবসান হওয়া দরকার।
যদিও রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। এমন অবস্থায় বিপণিবিতানও বন্ধ থাকবে।
রোববার দুপুরে ঢাকার নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, চন্দ্রিমা মার্কেট, ফুলবাড়িয়ার এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেট, গুলিস্তান শপিং কমপেস্নক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর ও দক্ষিণ, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপেস্নক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, বাড্ডার হল্যান্ড সেন্টারসহ গুলশান, বনানী, মিরপুরের অধিকাংশ বিপণিবিতান বন্ধ দেখা গেছে।
ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণের ব্যবসায়ী জালাল কাদের সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে গত ১৭ জুলাই থেকে ব্যবসা টালমাটাল। এরপর থেকে চলমান কারফিউয়ের কারণে ঢাকার বাইরের ক্রেতা আসছেন না। মাঝে দুই-চার দিন মার্কেট চালু থাকলেও আজ অসহযোগ আন্দোলনের কারণে মার্কেট বন্ধ রাখতে হয়েছে।'
রাজধানীর পান্থপথে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপেস্নক্স মার্কেট। ২১ তলার এই মার্কেটে ২ হাজার ৩২৫টি (১০০টি খাবারের দোকানসহ) রয়েছে। অসহযোগ আন্দোলনের কারণে রোববার এই মার্কেটটি বন্ধ রেখেছে মালিক পক্ষ। তবে গুগলে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপেস্নক্স লিখে সার্চ দিলে সকাল নয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'সাধারণত কারফিউতে সব দোকানপাট বন্ধ থাকে। তবে আজ (রোববার) সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের যে কারফিউ দেওয়া হয়েছে, এখন পরিস্থিতি কী হবে তা জানি না।'