বিশ্ববাজারে রাবারের দাম নিম্নমুখী

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক রাবারের দাম দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। রাবারের অন্যতম শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ চীনের চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা কমছে। এর প্রভাবে পণ্যটির দাম কমছে। ফিউচার মার্কেটে প্রাকৃতিক রাবারের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ আরএসএসথ্রির দাম শুক্রবার প্রতি কিলোগ্রামে ৩১০ দশমিক ১ ইয়েন বা ২ ডলার ১১ সেন্টে নেমে আসে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর সবচেয়ে কম। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ রপ্তানিকারক দেশগুলোয় এপ্রিল ও মে মাসে কম রাবার উৎপাদন হয়। বিশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি এল নিনোর কারণে চলতি বছর বর্ষাকাল শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে। ফলে রাবার গাছের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের অভাবে চলতি বছর এ সময় আরও বর্ধিত হয়েছে। এতে জুনে রাবারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে বর্তমানে উৎপাদন কমার সময় শেষ হয়ে আসায় সরবরাহ বেড়েছে। ফলে রাবারের দামও কমে যাচ্ছে। রাবার গাড়ির টায়ার তৈরির প্রধান উপাদান। এ খাতের জোগান রাবার চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ থেকে আসে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাতা। দেশটিতে রাবারের চাহিদাও বেশি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে রাবারের বাজারে। ইউকাতা ট্রাস্টি সিকিউরিটিজয়ের কর্মকর্তা গু জিয়ং বলেন, 'চীনে গাড়ি বিক্রি কমে গেছে। বিশেষ করে বিদু্যৎ চালিত গাড়ির (ইভি) বাজার খারাপ সময় পার করছে। ফলে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা নিম্নমুখী হয়েছে।' ফিউচার মার্কেটে প্রধানত জাপানি মুদ্রা ইয়েন ব্যবহার করে রাবার বেচাকেনা হয়। সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান বৃদ্ধিও পণ্যটির দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, দামের এমন আচরণ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রাবার স্টাডি গ্রম্নপ বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি বছর পণ্যটির উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ ২ হাজারে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ সময় চীন, ভারত ও ভিয়েতনামে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন বাড়বে। তবে চলতি বছর থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় রাবার উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রাবার স্টাডি গ্রম্নপ। দেশ দুটিতে রাবার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে দশমিক ৫ ও ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল রাবার স্টাডি গ্রম্নপের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে।