ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংকিংসেবা চালু রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ১২ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ব্যাংকের এমডিরা গভর্নরকে জানান, সাম্প্র্রতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও এটিএম সেবা চালু ছিল। এ সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন ব্যাংকিংসেবা ব্যাহত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট ছাড়া বিকল্প উপায়ে ব্যাংকিংসেবা চালু রাখা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকিংসেবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে। এটি পৃথক লাইন বা ইন্টারনেট ছাড়া কেবল লাইন দিয়ে হতে পারে।
সভাশেষে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এবার ব্যাংকের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। (সহিংস পরিস্থিতিতে) বিভিন্ন ব্যাংকের চারজন কর্মী মারা গেছেন। ব্যাংকের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নির্ভরতার পরিবর্তে অন্যভাবে চালানো যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এটি বাড়বে-কমবে। এবারের পরিস্থিতিতে ব্যবসায় তেমন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এরপরও এটিকে কেন্দ্র করে অনেকে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে।
জুলাইয়ে কয়েকদিন ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। এজন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরামর্শে বিকল্প নিয়ে খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগ। তারা এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা, দ্য সিটি, ইস্টার্ন, মিউচু্যয়াল ট্রাস্ট, ব্র্যাক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ও ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।