বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

বেড়েছে ৬ অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের আমদানি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বেড়েছে ৬ অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের আমদানি

দেশে বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা আমদানির মাধ্যমে মেটানো হয়। গম, ভুট্টা, কয়েক পদের ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, জিরা এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য। গত বছর থেকে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আলু। সবশেষ অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এমন ১১টি কৃষিপণ্যের মধ্যে ৬টির আমদানি বেড়েছে, কমেছে পাঁচটির।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিগত চার অর্থবছরের আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়। যদিও গত অর্থবছরের প্রায় পুরোটা সময় ডলার সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সমস্যায় আমদানি কমার কথা বলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি সংকটের কারণে গত অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত এসব পণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়েছে।

তথ্য বলছে, গত অর্থবছর (২০২৩-২৪) দেশে গম, মসুর ডাল, রসুন, হলুদ, জিরা ও আলুর আমদানি বেড়েছে। আর কমেছে ভুট্টা, ছোলা, মুগডাল, পেঁয়াজ ও আদার আমদানি।

গত অর্থবছর অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছিল গম আমদানি যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৬ লাখ টন বেশি। ওই অর্থবছর (২০২২-২৩) আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ২৫ হাজার টন। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার টন গম আমদানি হয়।

মসুর ডালের সংকট না থাকলেও অ্যাংকর, মটরসহ অন্য ডাল এখনো আমদানি কম হচ্ছে। যার কারণে মসুর ডালের দামেও সে প্রভাব পড়ছে। মোটাদাগে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে আমদানির কারণে।

যদিও এ তথ্যের সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গম আমদানির তথ্যের কিছুটা ফারাক রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৭ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন। বাকি ৬০ লাখ ২৪ হাজার টন আমদানি করেছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

দুই মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেড় লাখ টন গম আমদানির ফারাক থাকলেও এটা প্রমাণিত যে, গত অর্থবছর দেশে গম আমদানির হিড়িক পড়েছিল। যদিও আমদানি ও বিশ্ববাজারে গমের দাম কমার তুলনায় দেশে আটা-ময়দার দাম সমন্বয় সেভাবে হয়নি।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দাম কম থাকায় গত ফেব্রম্নয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রচুর গম আমদানি করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি সরকারও এ সময় রাশিয়া থেকে গমের একটি বড় চালান কিনেছে। এছাড়া ইউক্রেন, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও উরুগুয়ে থেকে গম কেনা হচ্ছে। ওইসব দেশ থেকে ২২৭ থেকে ২৪০ ডলারের মধ্যে প্রতি টন গম কেনা যাচ্ছে যা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

গম আমদানি প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম নিত্যপণ্য আমদানিকারক বিএসএম গ্রম্নপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার চৌধুরী বলেন, 'বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছিল গত ফেব্রম্নয়ারি থেকে। যে কারণে আমদানি বেড়েছে। এর আগে কয়েক বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে বেশ কয়েক বছর গম আমদানি নেতিবাচক ছিল।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে