ডলারের দাম বেড়ে ১২৫ টাকা

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
দেশে খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামে হঠাৎ অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ঢাকার খোলাবাজারে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪-১২৫ টাকায় উঠেছে। দুই সপ্তাহ আগেও ডলারের দাম ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে ছিল। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য মনে করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণেই মূলত খোলাবাজারে প্রভাব পড়েছে। খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ফেরার সময় প্রবাসীরা নিজেদের সঙ্গে করে যে ডলার নিয়ে আসেন, সেগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে মানুষ আসা কমে যাওয়ায় ডলারের সরবরাহও কমেছে। এতেই ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বেড়ে গেছে। এনিয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, 'সাম্প্রতিক গন্ডগোলের সুযোগে দাম বাড়ানো হয়েছে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তা আবার কমে আসবে। এই দাম বাড়ার ফলে বড় কিছু হয়ে যায়নি। দাম বাড়বে-কমবে, এটাই স্বাভাবিক। দাম বাড়ার তথ্যের ক্ষেত্রে পুরো চিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না। কমপক্ষে ছয় মাসের তথ্য পর্যালোচনা করা উচিত। অর্থনীতিতে খোলাবাজারের ডলারের দামের তেমন অবদান নেই।' জানা গেছে, খোলাবাজারে দুই সপ্তাহ আগে প্রতি ডলার ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হতো। নগদ ডলারের দাম কয়েক মাস ধরে এ রকম ধারাতেই ছিল। তবে ছাত্র আন্দোলনের পর গত সোমবার তা বেড়ে ১২২ টাকায় ওঠে, যা গতকাল ১২৫ টাকায় পৌঁছায়। রাজধানীর মতিঝিলের খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতা মো. শাহজাহান বলেন, হাতে হাতে যে ডলার আসছে, তার দাম চড়া হয়ে মঙ্গলবার ১২৪ টাকার ওপরে উঠেছে। কারণ, ডলারের জোগান কমে গেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা আগের দামেই ডলার বিক্রি করছে। বেসরকারি সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংক এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকে বুধবার প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলো পরিচিত গ্রাহক ছাড়া অন্যদের কাছে তেমন ডলার বিক্রি করছে না। দুটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রবাসী আয় কমে আসার প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে। ফলে আগের চেয়ে হুন্ডিতে বেশি আয় পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। একশ্রেণির বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বিদেশে বসে বেশি দামে প্রবাসী আয়ের সেই ডলার কিনে নেন। এর বিনিময়ে তারা দেশে প্রবাসীদের পরিবার বা উপকারভোগীকে টাকা দেন। এতে ডলার বিদেশেই থেকে যায়। এর ওপর অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নগদ ডলার কিনে রাখছেন বলে শোনা যায়। এটাও বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। ফলে খোলাবাজারে প্রভাব পড়েছে।