দুগ্ধশিল্পে অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
কারফিউর কারণে বগুড়ার জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য) স্বীকৃতি পাওয়া দইয়ের ব্যবসায় দিনে চার কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের। দই উৎপাদন ও বেচাবিক্রি বন্ধ থাকায় এই লোকসান গুনতে হচ্ছে দই উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের। তাতে গত আট দিনে এ খাতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। এছাড়া দই ও মিষ্টি উৎপাদন বন্ধ থাকায় দৈনিক ৪ লাখ লিটার অবিক্রীত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারিরা। প্রতি লিটার দুধের দাম ৭০ টাকা হিসাবে খামারিদের দৈনিক লোকসান প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তাতে আট দিনে খামারিদের লোকসান দাঁড়ায় প্রায় ২২ কোটি টাকার বেশি। দইয়ের রাজধানীখ্যাত বগুড়া শহরের সাতমাথায় অবস্থিত রফাত দই ঘর, চিনিপাতা, মহরম দই ঘর, শেরপুর দই ঘর, কবি নজরুল ইসলাম সড়কের প্রসিদ্ধ এশিয়া সুইটস, আকবরিয়া এক্সক্লুসিভ সুইটস, শ্যামলী সুইটস, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলসহ প্রায় সব কটি বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই বগুড়ার সাতমাথায় সহিংসতা শুরু হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় এশিয়া সুইটসের বিক্রয়কেন্দ্রটি। এরপর একে একে বন্ধ হয়ে যায় অন্যান্য বিক্রয়কেন্দ্রও। বগুড়া চেম্বারের পরিচালক ও আকবরিয়া গ্রম্নপের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল বলেন, বগুড়া শহর এবং শেরপুর উপজেলাসহ জেলাজুড়ে দই উৎপাদনকারী ছোট বড় ৪০০টি কারখানা এবং ৫০০টি বিক্রয়কেন্দ্র আছে। জেলায় দৈনিক দই বিক্রি হয় প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। এর বাইরে অনেক কারখানা থেকে প্রতিদিন দই যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরে। সব মিলিয়ে দৈনিক চার কোটি টাকার দইয়ের ব্যবসা হয় বগুড়া জেলায়। সব মিলিয়ে দই ব্যবসায় গত আট দিনে প্রায় ৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এশিয়া সুইটসের ব্যবস্থাপক মো. আরিফ-উজ্জামান বলেন, 'আমাদের কারখানা ও বিক্রয়কেন্দ্রে দৈনিক ১৫০ জন কারিগর ও কর্মচারী কাজ করেন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সহিংসতায় ১৬ জুলাই থেকে এশিয়া সুইটসের বিক্রয়কেন্দ্র এবং কারখানা বন্ধ। ব্যবসা বন্ধ থাকলেও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও খাবারের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে।' রফাত দই ঘরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, তার কারখানা ও বিক্রয়কেন্দ্র এক দিন বন্ধ থাকলে ৩০ হাজার টাকার লোকসান গুনতে হয়।