নকল মোড়কে আমদানি হচ্ছে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস

১৫ প্রতিষ্ঠানের রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের চালান কাস্টমস কর্তৃক বা তৎকর্তৃক স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা করে সঠিক পাওয়া গেলে এবারের মতো (গ্যাসপূর্ণ রেফ্রিজারেটর সিলিন্ডার) ছাড় করা যেতে পারে বলে মত দেয়। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ ধরনের চালান আমদানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ১৫টি প্রতিষ্ঠানের রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের চালান গত ২৬ জুন কায়িক পরীক্ষা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডারগুলোর গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ও সিলিন্ডার স্ট্যান্ডার্ড স্পেসিফিকেশনের নাম নেই। এমনকি গ্যাস উৎপাদনকারী বা ভর্তিকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও ওয়েবসাইটের ঠিকানাও লিপিবদ্ধ নেই। কিছু চালানের মোড়কে কিউআর কোড থাকলেও সেগুলো কাজ করছে না। এ ছাড়া কায়িক পরীক্ষায় বিশ্বখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নকল মোড়কে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস আমদানির সত্যতা মিলেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) থেকে একের পর এক বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের বেশ কিছু চালান আটকে দিয়ে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্দরের অভ্যন্তরে এসব চালান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। অন্যদিকে আমদানি প্রক্রিয়ায় পাইপলাইনে আছে- এমন আরও অর্ধশতাধিক কনটেইনার। দেশে আমদানি করা রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস মূলত এসি ও ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই এই গ্যাস আমদানি করতে হয়। এসব অনিয়ম সামনে এলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পুনরায় বন্দর থেকে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের চালান খালাসের বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের মতামত জানতে চায়। এতে সংস্থাটি ১৫ প্রতিষ্ঠানের রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের চালান কাস্টমস কর্তৃক বা তৎকর্তৃক স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা করে সঠিক পাওয়া গেলে এবারের মতো (গ্যাসপূর্ণ রেফ্রিজারেটর সিলিন্ডার) ছাড় করা যেতে পারে বলে মত দেয়। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ ধরনের চালান আমদানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে। কায়িক পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে নিজ সংস্থার জন্য একটি, আমদানিকারকের জন্য তিনটি ও কাস্টমসের জন্য দুটি করণীয় তুলে ধরে মতামত দিয়েছে বিস্ফোরক পরিদপ্তর। কাস্টমসের জন্য করণীয় হলো বিস্ফোরক পরিদপ্তর কর্তৃক ইসু্য করা গ্যাস সিলিন্ডার আমদানির লাইসেন্সে (গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা-১৯৯১-এর তফসিল-১ অনুসারে ইসু্যকৃত) উলেস্নখিত সিলিন্ডারের সংখ্যা, সিলিন্ডারের স্ট্যান্ডার্ড স্পেসিফিকেশন, সিলিন্ডার প্রস্তুতকারীর নাম, ঠিকানা ও প্রতীক, ইউএন লেভেলিং (প্রতীক) নিশ্চিত করা। অপরটি হলো ঘোষণা প্রদত্ত পণ্য এইচএস কোডে উলেস্নখিত কোডভিত্তিক সুনির্দিষ্ট রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের পণ্য চালান কিনা তা স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা করে ছাড় করা।