কিছুটা কমার পর বিশ্ববাজারে আবারও সোনার দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৬৪ ডলারের ওপরে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৩৪ ডলার।
এই দাম বাড়ার আগে বিশ্ববাজারে সোনার দামে পতন হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়েছে। সর্বশেষ দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। ফলে দেশের বাজারেও যে কোনো মুহূর্তে সোনার দাম বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম যে হারে বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গত সপ্তাহের আগে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়। বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব থেকে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এই দামেই দেশে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর পর গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে লেনদেনের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৩২৪ ডলারে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস ২ জুলাইও দাম প্রায় একই জায়গায় থাকে। তবে তৃতীয় কার্যদিবস ৩ জুলাই থেকে সোনার দাম টানা বাড়তে থাকে। দফায় দফায় দাম বেড়ে সপ্তাহে ২ হাজার ৩৯০ দশমিক ৭৭ ডলারে থিতু হয়েছে।