বিদায়ী সপ্তাহের সোমবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে বন্ধ ছিল দেশের ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৩০ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত শেয়ারবাজারে চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। তাই আগের সপ্তাহ থেকে লেনদেন কমেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে এবং সূচক বেড়েছে উলেস্নখযোগ্য হারে। শুধু সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ১২৩ পয়েন্ট।
বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেড়েছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ৫৬০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি টাকায় উঠে এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে মোট দুই হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪২.১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৪৯৭.৫৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ২৫.১৮ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,২০৮.৭০ পয়েন্টে এবং ১,৯৫১.৩৪ পয়েন্টে। এবং ডিএসই এসএমই সূচক ২৬.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১,৪৭৯.৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩২৯টির দর বেড়েছে, ৪০টির দর কমেছে, ২৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৯টির লেনদেন হয়নি।
আগেই উলেস্নখ করা হয়েছে যে, বিদায়ী সপ্তাহের সোমবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে বন্ধ ছিল দেশের ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ জুন-৪ জুলাই) শেয়ারবাজারে চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে।
এই চার কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৮৬ শতাংশ।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.২৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৪ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩২ শতাংশ।
এছাড়া প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, সি পার্ল রিসোর্টের ১১ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইউনিলিভার কনজু্যমারের ১০ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের ১০ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ৯ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২১.৩৬ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে সিলকো ফার্মার ২০.৬৯ শতাংশ, রতনপুর স্টিলের ১৮.০৫ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ১৭.৫৩ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ১৭.২২ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ১৭.০৭ শতাংশ, সাইফ পাওয়াটেকের ১৬.০৪ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ১৫.৭৫ শতাংশ, নাভানা সিএনজির ১৫.৪৫ শতাংশ এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ১৫.৪৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট দর ১০.৭৪ শতাংশ কমেছে। সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৭.৫১ শতাংশ, এটলাস বাংলাদেশের ৭.৩২ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৬.২৮ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইলের ৫.৫২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের ৫.২৬ শতাংশ, লিনডে বাংলাদেশের ৪.৩৫ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৪.০৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৩.৮১ এবং জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ৩.৭৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।