বছরের ষান্মাসিক (জুন ক্লোজিং) শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। প্রকৃত মুনাফা যেমনই হোক দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকের বেড়েছে পরিচালন মুনাফা। তবে অনেক ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ হিসাব বা কর পরিশোধের আগে পরিচালন মুনাফা হিসাব করতে নারাজ।
সোমবার চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের লাভ-ক্ষতির হিসাব চূড়ান্ত করেছে অধিকাংশ ব্যাংক। এতে ওঠে এসেছে এমন তথ্য।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিচালন মুনাফা বাড়ার অর্থ ব্যাংকখাত ভালো অবস্থানে আছে এমনটা নয়। ব্যাংকগুলো নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ ও কর পরিশোধের পর পরিচালন মুনাফার কত অংশ টেকে সেটিই দেখার বিষয়। তাছাড়া পরিচালন মুনাফার প্রবৃদ্ধির তথ্য দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যাংকগুলোর আয়ের বড় একটি অংশ আসে বৈদেশিক বাণিজ্যের কমিশন থেকে। বিদায়ী বছর আমদানি কমেছে, শ্লথ ছিল রপ্তানি ও রেমিট্যান্স।
ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে দুই হাজার ২৬০ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। বছরের প্রথম ছয় মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। গত বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩২০ কোটি টাকা।