দীর্ঘদিন থেকে অমীমাংসিত মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত এসেছে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট গ্রম্নপ কাস্টমসের যৌথ সভায়। শুক্রবার ভারতের শিলংয়ে শেষ হওয়া দু'দিনের কাস্টমস কমিশনার পর্যায়ের সপ্তম সভায় উভয় দেশের প্রতিনিধি দল এ নিয়ে একমত হয়।
বৈঠকের পর ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দুই দেশের শুল্ক এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আরও কিছু বিষয়ের জটিলতা নিরসনে সেগুলো উচ্চ পর্যায়ের যথাযথ ফোরামে তোলা হবে।
সভায় প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তে কাস্টমস বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। তারা শুল্ক প্রশাসনের কাজকর্ম আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এতে শুল্ক কর্মকর্তাদের নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতেও কাজ করার বিষয়ে তারা সম্মত হন। একই সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার বিভিন্ন উপায় ও কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যশোরের কাস্টমস, শুল্ক ও ভ্যাট কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন শিলংয়ে এনইআরের কাস্টমস কমিশনার এম রহমান।
ঢাকায় ২০০৯ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কাস্টমসের পঞ্চম যৌথ সভার সিদ্ধান্তের পর থেকে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল নিয়মিত এ সভা করছে।