গত এক যুগে পেস্নসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
শেয়ারবাজারে গত ১০ থেকে ১২ বছরে পেস্নসমেন্ট ইসু্যকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও।
তিনি বলেন, পেস্নসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইসু্য। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এ জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সাংবাদিকরা লেখনীর মাধ্যমে এসব অনিয়ম তুলে ধরলে কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
শনিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনের আলরাজি কমপেস্নক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি হয়।
সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফর সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের সাইজ এখনো ছোট। তবে আমরা মনেপ্রাণে চাই এই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা উত্তলোনের সুযোগ না থাকা। এত প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না- তা হয় না।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য পেস্নসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিল বলে আমি মনে করি। তবে এটা কে কীভাবে ব্যবহার করছে তার ওপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন ও করছেন। এর মাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আশা করি।
তিনি বলেন, ৯ থেকে ১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এত বছর পরও লেনদেন বাড়েনি বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০ থেকে ১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।