বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার বৃদ্ধির পূর্বাভাস

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ২০২৯ সালের মধ্যে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 'গেস্নাবাল ডেইরি প্রডাক্টস মার্কেটস আউটলুক ২০২৯' নামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস। খবর গেস্নাবনিউজওয়্যার, ডেইরি নিউজ টুডে। পূর্বাভাসে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের বাজার ৭৯ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করবে, গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৫৮ হাজার ১৮ কোটি ডলার। ২০২৪-২৯ সালের মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত দুগ্ধজাত পণ্যের বৈচিত্র্যের কারণে ক্রেতারা তা ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে। নিজেদের চাহিদা, পছন্দ ও গুণমান অনুযায়ী তারা গ্রিক দই, পনির অথবা ক্রিমি মিল্ক থেকে শুরু করে অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য কিনতে পারে। রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। আর সামনের দিনগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাও দিন দিন বাড়ছে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন পরিহার করে তারা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য। এ কারণে চাহিদা বেড়ে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ কোম্পানি হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ল্যাকটালিস গ্রম্নপ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে কোম্পানিটি জানায়, ল্যাকটালিস গ্রম্নপের আয়ের ৩৯ শতাংশই আসে পনির থেকে। এছাড়া এ কোম্পানির ১৯ শতাংশ আসে দুধ থেকে, ১৫ শতাংশ আসে চিলড ডেইরি প্রডাক্টস ও ১২ শতাংশ আয় হয় মাখন ও ক্রিম থেকে। আয়ের ৮ শতাংশ অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য থেকে আসে।