বিশ্বব্যাপী কাগজের চাহিদা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে বইয়ের বাড়তি ক্রয়াদেশ। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গেস্নাবাল প্যাকেজিং অ্যান্ড পেপার প্রডিউসার কোম্পানি মন্ডি। খবর আইওএল ও রয়টার্স।
বিবৃতিতে মন্ডি জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় কাগজের গড় দাম কম ছিল। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা আবার বাড়তে শুরু করে। এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডু্র কিং বলেন, 'বিশ্ববাজারে কাগজের চাহিদা বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ সময় বিক্রয়মূল্য কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা পরবর্তী সময়ে কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।'
এদিকে কোম্পানিটি বেশির ভাগ কাগজের গ্রেডে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। আগামী বছর কোম্পানির আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ডির প্রধান নির্বাহী ডেভিড হ্যাথর্ন। তিনি বলেন, 'ব্যবসায় স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
কোম্পানিটি স্যাকে ক্রাফট পেপারের জন্য ১২ শতাংশ, ক্রাফ্লাইনারের জন্য ২৫ ও রিসাইকেলড কনটেইনার বোর্ডের জন্য ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত পরিসংখ্যান নির্ধারণ করা হবে। মন্ডি জানিয়েছে, সামনের দিনগুলোয় কোম্পানিটি ১৮ কোটি ইউরো (২৭ কোটি ৭ লাখ ডলার) খরচ সাশ্রয়ের লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের শেষে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ডলার।