ঈদের পরও ঊর্ধ্বমুখী মসলাপণ্যের বাজার

ঈদের আগে প্রতি কেজি কালো গোলমরিচ বিক্রি হয়েছিল ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকায়। গতকাল তা বেড়ে কেজিতে ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর সাদা গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩২০ টাকা

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ঈদের পর মসলাপণ্যের বাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী। বাড়তে শুরু করেছে কালো ও সাদা গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরাসহ অন্যান্য মসলার দাম। সরবরাহ সংকট দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর চাহিদা স্থিতিশীল কিংবা কম থাকলেও সেখানে সাদা ও কালো গোলমরিচ, দারুচিনি, জিরা, লবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি মসলার দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানীকৃত অন্যান্য মসলাপণ্যের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রতি কেজি কালো গোলমরিচ বিক্রি হয়েছিল ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকায়। গতকাল তা বেড়ে কেজিতে ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর সাদা গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩২০ টাকা। মসলাপণ্যটি কেজিপ্রতি বেচাকেনা হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ টাকায়। জিরার দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে বেচাকেনা হয়েছে ৬৮৫ টাকায়। গতকাল দারুচিনির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকায়, লবঙ্গ ৬-১০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৩৬০ থেকে ১ হাজার ৩৭০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী অমল সাহা এ বিষয়ে বলেন, 'পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। কয়েক দিন ধরে বাজারে মসলাপণ্যের বেচাকেনা কম ছিল। ঈদের পর বাজার শুরু হলে কিছু মসলার চাহিদা বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মসলার বাজারে পড়েছে।' অমল সাহা আরও বলেন, '?ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে মসলার সরবরাহ কিছুটা কম। নতুন করে ঋণপত্র খুলে আমদানি হলে মসলার দাম বেশি হবে। এসব কারণে কোরবানির ঈদের পরও মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী।' বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, দুই বছর ধরে প্রধান কয়েকটি মসলাপণ্যের আমদানি শুল্ক কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। ডলারের দামের কারণে দেশে আমদানি হওয়া মসলার দাম বেড়েছে। ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানির পরিমাণও সীমিত। তাই বাজারে আমদানিকৃত মসলার দাম বেশি। মসলাপণ্যের পাশাপাশি কিশমিশের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৫ টাকা। কাঠবাদামের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৫ টাকায়, পেস্তা বাদাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৭৮০ টাকায়, কাজুবাদাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত বেশ কয়েকটি মসলাপণ্যের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। এর মধ্যে শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে ২০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আমদানিকৃত ভারতীয় মরিচ কেজিতে ৩১০ টাকায় আর দেশি মরিচ ১৯৮ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি হলুদের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমে ২৬৪ থেকে ২৬৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।