কোরবানির ঈদের আগে প্রতিবছরই বাড়ে সব ধরনের মসলার দাম। বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন। মাংস রান্নায় ব্যবহার হয়, এমন মসলার দাম ঈদের আগে আরেক দফা লাফ দিয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা থেকে শুরু করে গরম মসলা, সব কিছু কিনতেই বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ঈদের আগের দাম আরও চড়তে পারে, এই কথাও জানিয়ে রাখছেন বিক্রেতারা।
ভোক্তারা ত্যক্ত বিরক্ত। তাদের অভিযোগ, বাজারে প্রতিযোগিতা নেই, ব্যবসায়ীদের কোনো না কোনো গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারি প্রশাসন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁওয়ের তেঁজকুনিপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। এই দুই বাজারে খুচরায় পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা কেজি দরে, যা পাড়া-মহলস্নার বাজার বা ভ্যানে ৯০ টাকার ওপরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দেড় সপ্তাহ আগে ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে পারতেন ৭৫ থেকে ৭৭ টাকায়।
গত মঙ্গলবারও কারওয়ানবাজারে চায়না রসুন পাওয়া গেছে ২১০ টাকা দরে। দুই দিনের ব্যবধানে সেটি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে দেশি রসুনের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে হয়ে গেছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
আদার দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ৩০০ টাকা, চায়না আদা ৩২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
কারওয়ানবাজারে আদা-রসুন কিনতে এসে দাম শুনে আলমগীর হোসেন বিক্রেতা স্বপন সিকদারকে জিজ্ঞেস করলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেশি কেন।
স্বপন বললেন, 'আইজকার বাজারটা সুবিধার না ভাই। একটু গরম। কোরবানির দু'দিন আগে দেইখেন দামডা আরেকটু বাড়ব কইলাম।'
পাইকারি বিক্রেতা নাজিম উদ্দিন বললেন, 'গত ১০ দিনে এসব পণ্যে দাম বাড়ছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।'
আরেকজন বিক্রেতা ইসমাইল শেখ বললেন, 'গত সপ্তাহের তুলনায় আদা-রসুনের দাম ভালোই বাড়ছে। বেশি বাড়ছে আদায়।'