ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে ঈদের আগে দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় ঈদের আগের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচকও। তবে অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। অবশ্য দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে গত মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। ফলে ঈদের আগে হতাশ হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। যারা শেয়ার বিক্রি করে ঈদের খরচ জোগাড় করার চেষ্টা করেন, তারা পড়েন বিপাকে। তবে ঈদকেন্দ্রিক বিক্রির চাপ কমায় শেষ দুই কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলল।
বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১,৮২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ঈদকেন্দ্রিক বিক্রির চাপ গত মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেছে। কারণ মঙ্গলবারের পর যারা শেয়ার বিক্রি করবেন তারা ঈদের আগে আর সেই টাকা নগদ করতে পারবেন না। সে কারণে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঈদকেন্দ্রিক শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল না। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।
তিনি বলেন, অব্যাহত দরপতনের কারণে ভালো, মন্দ সব ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখন অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে এখন থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোটাই স্বাভাবিক।