সংকোচন থেকে সম্প্রসারণে ফিরেছে উৎপাদন খাত

প্রকাশ | ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
এপ্রিল মাসে সংকোচনের পর আবারও সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির উৎপাদন ও সেবা খাতের কর্মকান্ড। গত মাসে দেশের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স বা পিএমআই সূচকের মান ছিল ৭০ দশমিক ১। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে পিএমআই সূচক বেড়েছে ৭ দশমিক ৯ পয়েন্ট। মেট্রোপলিটন চেম্বার ও পলিসি এক্সচেঞ্জ প্রণীত সর্বশেষ পিএমআই সূচকে দেখা গেছে, মে মাসে দেশের অর্থনীতির প্রধান চারটি খাত অর্থাৎ কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ ও সেবা সব খাতেরই সম্প্রসারণ হয়েছে। ফলে গত মাসে পিএমআই সূচক ৭০-এর ঘরে উঠে গেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে দেশের কৃষি খাতের পিএমআই সূচকের মান ছিল ৭৯ দশমিক ৩; আগের মাস অর্থাৎ এপ্রিলে যা ছিল ৬০ দশমিক ৯। অর্থাৎ এক মাসে কৃষি খাতের সম্প্রসারণ হয়েছে প্রায় ১৯ পয়েন্ট। মে মাসে উৎপাদন খাতের পিএমআই মান ছিল ৭৬ দশমিক ৩; আগের মাস, অর্থাৎ এপ্রিলে যা ছিল ৭৪ দশমিক ৫। অর্থাৎ এই খাতের পয়েন্ট বেড়েছে প্রায় দুই পয়েন্ট। এ ছাড়া মে মাসে নির্মাণ ও সেবা খাতের পিএমআই সূচক ছিল যথাক্রমে ৭৪ দশমিক ৩ ও ৬৪ দশমিক ৩ পয়েন্ট। আগের মাস, অর্থাৎ এপ্রিলে এই সূচকের মান ছিল যথাক্রমে ৬৩ দশমিক ৮ ও ৫৬ দশমিক ২। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে নির্মাণ খাতের সূচক প্রায় ১১ পয়েন্ট ও সেবা খাতের সূচক প্রায় ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কৃষি খাত সংকোচনের পর এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস এই খাতের সম্প্রসারণ হয়েছে। নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ ও কর্মসংস্থানের ইতিবাচক ধারার পরিপ্রেক্ষিতে মে মাসে এই খাতের সম্প্রসারণ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়েছে। এই খাতে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। উৎপাদন খাতের সম্প্রসারণে যেসব বিষয় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে সেগুলো হলো নতুন কার্যাদেশ, নতুন রপ্তানি, কারখানার উৎপাদন, কাঁচামালের ক্রয়মূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি। যদিও গত মাসে এই খাতের কর্মসংস্থান কমেছে। নির্মাণ খাতে দেখা গেছে, নতুন ব্যবসা, নির্মাণ কার্যক্রম, কর্মসংস্থান ও কাঁচামালের দামের ইতিবাচক ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এই খাতের সম্প্রসারণ হয়েছে। অসম্পূর্ণ কাজের পরিমাণ এ নিয়ে টানা দুই মাস কমেছে। পরিষেবা খাতের সম্প্রসারণে যে বিষয়গুলো কাজ করেছে, সেগুলো হলো নতুন ব্যবসা, সামগ্রিক কর্মকান্ড, কর্মসংস্থান ও ব্যয়। অসম্পূর্ণ কার্যাদেশের পরিমাণ ক্রমেই কমছে, যদিও এই হ্রাসের হার কমেছে।