বাজেট মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাসে ভূমিকা রাখবে :ড. সেলিম উদ্দিন
প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার এ বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে ৮২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্য স্ফীতি এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ ও ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ বাজেটে বাড়ানো হয়েছে পরিচালন আবর্তন ব্যয় এবং মোট উন্নয়ন ব্যয়ের আকারও। এক্ষেত্রে পরিচালন আবর্তন ব্যয় উলেস্নখযোগ্য হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে যা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পক্ষান্তরে, মোট উন্নয়ন ব্যয় ১ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উলেস্নখযোগ্য দিক হলো, এনবিআর বহির্ভূত কর ও অন্যান্য প্রাপ্তিগুলো পূর্ববর্তী বছর থেকে টাকার অংকে যথাক্রমে পাঁচ হাজার ও চার হাজার কোটি টাকা হ্রাস করে একে আরও বেশি বাস্তবসম্মত করা হয়েছে। বাজেট ঘাটতি হ্রাসকল্পে গত বছর থেকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে- যা ইতিবাচক। প্রাক্কলিত ঘাটতির ৩৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বহি.উৎস এবং ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎস হতে মেটানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও বহি.উৎস অর্থায়ন বিদায়ী অর্থবছর থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে এ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, তারল্য সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মতো পরিস্থিতি রোধ করে বাজেট বাস্তবায়নে সফলতা দেখাতে বিভিন্ন কলা-কৌশলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা অতীতের যেকোনো সময় থেকে বেশি নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি