বাজুসের অভিযোগ

১০ টাকা ভ্যাটের আড়ালে ৯০ টাকা ঘুষ নেয় এনবিআর

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করার আগে ১৫টি দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। এই দাবি পুনর্বিবেচনা না করা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
১০ টাকা ভ্যাট আদায়ের আড়ালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯০ টাকা ঘুষ নেয় বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এমন অভিযোগ করে এনবিআরকে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করার আগে ১৫টি দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। এই দাবি পুনর্বিবেচনা না করা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রোববার বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ করে বাজুস তাদের দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়। বাজুসের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন। এ সময় বাজুসের মুখপাত্র ডা. দিলীপ কুমার রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল এবং বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্যসচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগরওয়াল উপস্থিত ছিলেন। এনবিআরের বিরুদ্ধে ১০ টাকা ভ্যাট আদায়ের আড়ালে ৯০ টাকা ঘুষ নেওয়া-সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা অনেক কথা বলি, অনেক কথা বলতে পারি না বাধ্য হয়ে। এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এ জন্য আমরা এই সত্য কথা (এনবিআর ঘুষ নেয়) সোজা করে বলার চেষ্টা করছি।' সংবাদ সম্মেলনে সোনা, স্বর্ণালংকার, রুপা বা রুপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে তিন শতাংশ করাসহ মোট ১৫টি দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। সোনার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার পাঁচ শতাংশের পরিবর্তে তিন শতাংশে নামিয়ে আনলে সরকার প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে বাজুস।