চলতি বছর বৈশ্বিক শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন চলতি বছর বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়া। এ সময় বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ৮০ লাখ টন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর আনাদোলু এজেন্সি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ও রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এমনকি গত বছর খাদ্যশস্যের দামও উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল। তবে কৃষ্ণ সাগরীয় দেশগুলোর বস্ন্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যশস্য আমদানি-রপ্তানিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়ার প্রধান ইরেন গুনহান উলুসয় বলেন, 'রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ। এ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর গত বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম অস্থিতিশীল ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর উৎপাদন কমে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে খাদ্যশস্য, বিশেষ করে গমের দাম উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বাড়ে। তবে বস্ন্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রপ্তানি কিছুটা হলেও অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, বস্ন্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ হলো রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখস্তানসহ কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর মধ্যে কৃষি উন্নয়ন ও সহযোগিতামূলক একটি উদ্যোগ। এ উদ্যোগের আওতায় কৃষি উৎপাদন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, গবেষণা পরিচালনা ও তথ্য বিনিময়ে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে বৈশ্বিক শস্য রপ্তানিতে দেশগুলোর বাজার সম্প্রসারণই এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। উলুসয় জানান, আগামী মৌসুমে রাশিয়ায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে। তবে সম্প্রতি প্রতিকূল আবহাওয়ায় আগের তুলনায় উৎপাদন ৮০ লাখ টন কমে যেতে পারে। বিশ্বের শীর্ষ ময়দা রপ্তানিকারক দেশ তুরস্ক। গত বছর দেশটি ৩৭ লাখ টন ময়দা রপ্তানি করে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছিল। শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর দেশটির ময়দা রপ্তানির পরিমাণ চার গুণেরও বেশি হতে পারে। এ বিষয়ে উরসুলা বলেন, 'গত বছর তুরস্কে ২ কোটি ২০ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছিল, যা সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।'