শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

৬৪ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে মোট ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে, যা গত ৬৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে প্রায় ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
৬৪ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন

দেশে গত ২৫ মে শেষ হয়েছে ২০২৪-২৫ সালের লবণ উৎপাদন মৌসুম। এ সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে মোট ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে, যা গত ৬৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে প্রায় ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল।

তবে উৎপাদনে রেকর্ড করলেও সম্প্রতি শেষ হওয়া মৌসুমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেননি কৃষকরা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মাঠ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মৌসুমের শেষ দিকে উৎপাদন থেকে সরে গেছেন তারা।

২০২৩-২৪ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। এ হিসেবে সম্প্রতি শেষ হওয়া মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৮৯০ টন কম লবণ উৎপাদন করেছেন দেশের কৃষকরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানায়, মৌসুমের শুরু ও শেষার্ধে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সম্ভাবনা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে দেশে প্রতি বছর উষ্ণতা বাড়ার কারণে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদনের হার বাড়ছে। লবণ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য এটা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন চাষি ও খাতসংশ্লিষ্টরা।

লবণ শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান ও বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, 'গত ২৫ মে পর্যন্ত ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টনের মতো লবণ উৎপাদন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে টানা তিনটি ঘূর্ণিঝড় এবং শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সুযোগ থাকলেও বাড়তি লবণ উৎপাদন করা যায়নি। তবে যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে, তাতে দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।'

দেশে ২০২৪-২৫ লবণ মৌসুমে আবাদযোগ্য জমি এবং কৃষকের সংখ্যাও বেড়েছে। বিসিকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশে মোট ৬৬ হাজার ৪২০ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছিল। চলতি বছর যার পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর (বিসিকের নিবন্ধিত)। এ হিসেবে চাষের জমি বেড়েছে ২ হাজার ৮১ একর। এছাড়া চলতি বছর আবাদযোগ্য জমিতে মোট ৪০ হাজার ৬৯৫ জন কৃষক লবণ চাষ করছেন, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে