বাড়ল সূচক, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরেই

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবক'টি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। অবশ্য এরপরও ডিএসইতে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরেই রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগের দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। সেই সঙ্গে দেখা দেয় লেনদেন খরা। ডিএসইতে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটে। শেয়ারবাজারের এ মন্দা অবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। সাংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়-বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন এবং অনেক বিনিয়োগকারী এরই মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছেন। এ পরিস্থিতিতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় লেনদেনের ১৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে যায়। ফলে শেয়ারবাজারে আবারও পতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের। তবে প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেন পার হওয়ার পর বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম কমার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। ফলে সূচকও ঋণাত্মক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দাম বাড়ার তালিকা। এতে সবক'টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৫১ পয়েন্টে উঠে এসেছে।