বৈশ্বিক শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস কমিয়েছে আইজিসি

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) ২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমের জন্য খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদনের মাসিক পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। আগের পূর্বাভাসের থেকে শস্যের উৎপাদন এক কোটি টন কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আর্জেন্টিনা ও সাবসাহারান আফ্রিকায় ভুট্টা এবং রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রে গমের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এ পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি আইজিসি। খবর ওয়ার্ল্ড-গ্রেইন ডটকম। আইজিসির সর্বশেষ গ্রেইন মার্কেট বা শস্যবাজার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ২৩ মে। প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর ২৩১ কোটি ২ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, ভুট্টা উৎপাদন আগের মৌসুমের চেয়ে কমে যাচ্ছে। এ বছর শস্যটির উৎপাদন কমে ১২২ কোটি টনে দাঁড়াবে। তবে অন্য শস্যগুলোর উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, খাদ্যশস্যের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ৯০ লাখ টন বেড়ে ২৩২ কোটি টনে উন্নীত হতে পারে। এছাড়া খাদ্য, পশুখাদ্য ও শিল্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভুট্টা ও গমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সমাপনী মজুতের পরিমাণ ৫৮ কোটি টনে নেমে যেতে পারে যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মজুত গত বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। আইজিসির প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় সয়াবিনের উৎপাদন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪-২৫ সালে বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদন ৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৪১ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছবে। একই সঙ্গে সয়াবিনের ব্যবহার ৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৪০ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। সয়াবিনজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ায় প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহারের নতুন রেকর্ড হতে পারে। চলতি বছরে গমের ব্যবহার শস্যটির উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আগাম পূর্বাভাস ছিল এ বছর ৭৯ কোটি ৫০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে। বিপরীতে ৮০ কোটি ১০ লাখ টন গম ব্যবহারের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে শস্যটির সমাপনী মজুত কমে ২৬ কোটি টনে পৌঁছতে পারে যা ২০১৮-১৯ সালের পর সর্বনিম্ন। আগামী বিপণন মৌসুমে চালের বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড ৫২ কোটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গম, সয়াবিন ও বার্লির দাম বাড়ায় শস্য ও তেলবীজের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আইজিসি। মে মাসের এসব শস্যের মূল্যসূচক ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।