চট্টগ্রামের নিলাম বাজারে সর্বশেষ মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ চা বিক্রি হয়েছে। তবে বিক্রি বাড়লেও চায়ের গড় দাম কমে যাওয়ায় আগের মৌসুম থেকে চা উৎপাদনকারী বাগানগুলোর আয় কমেছে। গত মৌসুম থেকে অন্তত ১০০ কোটি টাকা কম আয় করেছে দেশের চা উৎপাদনকারী বাগানগুলো।
দেশের প্রধান চা নিলাম কেন্দ্র চট্টগ্রামে। এখানে ২০২৩-২৪ মৌসুমের নিলাম শেষ হয়েছে গত ৩০ মার্চ। গত বছর দেশে রেকর্ড ১০ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামে সর্বশেষ নিলাম চলাকালীন দেশের ১৬৮টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা-চাষিদের পাঠানো মোট ৯ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৫৭১ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ১৭২ দশমিক ৬১ টাকা গড় দামে সর্বমোট ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ৭১৭ টাকার এসব চা কিনে নিয়েছে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিলাম প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবশেষ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি দামে চা বিক্রি করেছে কেদারপুর চা বাগান। বাগানটি কেজিপ্রতি ২৮৫ টাকা ৭৪ পয়সা গড় দামে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৬৯ কেজি চা নিলামে বিক্রি করেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা বিক্রি করেছে মধুপুর চা বাগান। এবারের নিলাম মৌসুমে এ চা বাগান ২৭৭ দশমিক ৫০ টাকা দরে মোট ৯ লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ কেজি চা বিক্রি করেছে। এর পরই তৃতীয় সর্বোচ্চ দামে চা বিক্রি করেছে খৈয়াছড়া ডলু চা বাগান। ২৪৪ দশমিক ৩২ টাকা কেজি দরে মোট ৯ লাখ ৫ হাজার ৭৩৪ কেজি চা বিক্রি করেছে এ চা বাগান।
নিলামে ক্রয় করা চা ১৫ শতাংশ শুল্ক, ১ শতাংশ চা বোর্ড ও ১ শতাংশ ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে গুদাম থেকে চা সংগ্রহ করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। যার কারণে শুল্ক, ক্রয় কমিশন ও আনুষঙ্গিক খরচসহ এসব চায়ের মোট বাজারমূল্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
চা উৎপাদন ও বিক্রি বাড়লেও গড় দাম কমে যাওয়ায় আগের বছরের চেয়ে এবার আয় কমেছে বাগানগুলোর। এর আগে চট্টগ্রামে ২০২২-২৩ নিলাম বছরে মোট ৮ কোটি ৬৬ লাখ ২২ হাজার ৮৪০ কেজি ১ গ্রাম চা বিক্রি করা হয়েছিল।