দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১২ থেকে ১৬ মে) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৫০ শতাংশ। শনিবার (১৮ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১১.১৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৮৭ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.২৯ পয়েন্ট বা ২.৫০ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (৫ থেকে ৯ মে) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৯৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১১.১৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১৭ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ কমেছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ৬.৩৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ৭.৫৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ৯.৯১ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদু্যৎ খাতে ১২.৪৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩.৬৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৪.১৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৪.২৫ পয়েন্টে, সাধারণ বীমা খাতে ১৫.২১ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১৫.৪০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১৩.৩০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৭৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৮.৯২ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২০.৭৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২০.৯২ পয়েন্টে, আইটি খাতে ২১.১১ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৮.৭৮ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৮.৮৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৩০.৯৫ পয়েন্টে ও সিরামিক খাতে ৮২.৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করে বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ পয়েন্টে।