সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসছে

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে এই প্রস্তাব করা হতে পারে। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি-সুবিধা পুরোপুরি থাকবে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদের সদস্যরা কোনো শুল্ককর পরিশোধ ছাড়াই গাড়ি আমদানি করতে পারেন। ৩৬ বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন সংসদ সদস্যরা। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে সংসদ সদস্যদের সুবিধা কিছুটা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে শুধু আমদানি শুল্ক বসিয়ে কতটা রাজস্ব আদায় বাড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা গাড়ি আমদানিতে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আসে সম্পূরক শুল্ক থেকে। বর্তমানে গাড়ির ইঞ্জিনের সিসিভেদে ৪৫ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। এনবিআরের সূত্রগুলো বলছে, এবার শুধু ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হতে পারে। তবে সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর মওকুফ থাকবে। গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বসে। সংসদ সদস্যদের আনা গাড়ির ওপর আমদানি শুল্ক বসালেও তারা ভালো সুবিধা পাবেন। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, নতুন প্রস্তাব পাস হলে কোনো সংসদ সদস্য যদি ১ কোটি টাকা দামের গাড়ি (৪০০০ সিসির বেশি) আনেন, তাহলে তাকে ২৫ লাখ টাকা আমদানি শুল্ক দিতে হবে। কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক যদি ওই গাড়ি আনেন, তাহলে গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ ও ৫০০ শতাংশ সম্পূরক আরোপ হবে। ওই আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্কসহ আমদানিকারককে দিতে হবে সাড়ে ছয় কোটি টাকা। এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'আগামী বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানি কর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমেই সব সুবিধা প্রত্যাহার না করে কিছুটা শুল্কারোপের পথে যাচ্ছে এনবিআর। নীতিনির্ধারকেরা চাইলে ধীরে ধীরে সব সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে।' সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি-সুবিধা প্রথম দেওয়া হয় এরশাদ সরকারের আমলে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালের ২৪ মে এ সংক্রান্ত সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেও এই সুবিধা বহাল রাখে। সব দলের সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি নিয়েছেন।