বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ :মন্ত্রী

পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ :মন্ত্রী

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ পরে বলে জানালেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে পোশাকশিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা আমাদের দেশে।'

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এ দেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।'

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, 'আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোনো নন-কম্‌পস্নায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এ দেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।'

দেশের পোশাকশিল্প মালিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'আমাদের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাকশিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।'

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি, এইচঅ্যান্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে