পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ছয় মাস পর তা প্রত্যাহার করেছে ভারত। দেশটির সর্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে শনিবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অনেক দিন ধরেই। কিন্তু রপ্তানির ফলে অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয়ে দাম বাড়তে পারে জানিয়ে তাতে সায় দিচ্ছিল না সরকার।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয়ধাপে মহারাষ্ট্রের ১১টি আসনে ভোট হবে ৭ মে। এর ঠিক দুদিন আগে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল। ভারতের 'ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড' (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্যও বেঁধে দিয়েছে।
প্রতি টন পেঁয়াজের নূ্যনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ ডলার।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশটি রান্নায় বহুল ব্যবহৃত এ পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল গত ৮ ডিসেম্বর থেকে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই মেয়াদ শেষের আগেই ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।
তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভারত গত ফেব্রম্নয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দেয়। এতে বাংলাদেশের বাজারেও তখন পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে।
বাংলাদেশের বাজারে কয়েক দিন ধরেই খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে শুক্রবার ক্রেতাদের কাছে দাম চাওয়া হচ্ছিল ৭০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যও বলছে, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি। শুক্রবার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি।