সূচক ও বাজার মূলধন কমলেও বেড়েছে লেনদেন
প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২১-২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ও সব ধরনের মূল্য সূচক কমেছে। তবে টাকার পরিমাণে আগের সপ্তাহ থেকে লেনদেন বেড়েছে। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
ডিএসই সূত্র বলছে, বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে টাকার অঙ্কে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮৫২ কোটি টাকা।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক-ডিএসইএক্স ১৬৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্ট হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক-ডিএসইএস ২৯ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসএমইএক্স কমেছে ৪০ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের তুলনায় বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪১২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছিল; যার মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, অপরিবর্তিত ছিল ১০টির, কমেছে ৩২৭টির এবং ১৮টি কোম্পানির কোনো লেনদেন হয়নি।
এদিকে সিএসই প্রধান সূচক-সিএএসপিআই ২ শতাংশ কমে আলোচিত সপ্তাহে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সিএসই৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, সিএসসিএক্স কমেছে ৩ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে ৪ শতাংশ, সিএসআই কমেছে ২ শতাংশ এবং সিএসইএসএমইএক্স কমেছে দশমিক ২৬ শতাংশ।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৬৬ শতাংশ।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৭৫ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৬০ শতাংশ।
এছাড়া প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গোল্ডেন সনের ২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মালেক স্পিনিংয়ের ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সালভো কেমিক্যালের ১২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, কহিনূর কেমিক্যালের ১২ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২.৯৩ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কহিনূর কেমিক্যালের ২১.৮০ শতাংশ, ফার্মা এইডসের ১৭.৯৫ শতাংশ, ই-জেনারেশনের ১৭.৪৬ শতাংশ, আইটি কনসালট্যান্টসের ১১.৬৭ শতাংশ, আরডি ফুডের ১০.৬৭ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১০.৫১ শতাংশ, শাশা ডেনিমসের ৯.৯৫ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবলি মিউচুয়াল ফান্ডের ৯.৫৭ শতাংশ এবং বিডি থাই ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের ৮.০৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯.৮৬ শতাংশ কমেছে। সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এইচআর টেক্সটাইলের ১৮.৫৭ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ১৭.১৮ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিকসের ১৭.১৭ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১৬.৬০ শতাংশ, তুং হাই নিটিংয়ের ১৫.৫১ শতাংশ, একটিভ ফাইন কেমিক্যালের ১৫.২৮ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ১৫.২৫ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ১৪.৮৬ শতাংশ এবং জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ১৪.৬৮ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।