দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ থেকে ২৮ মার্চ) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ৪.২০ শতাংশ। শনিবার ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.১৫ পয়েন্ট। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১১.৬৪ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.৫১ পয়েন্ট বা ৪.২০ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (১৮ থেকে ২১ মার্চ) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.২৪ পয়েন্ট। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১২.১৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমেছিল।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ৬.৪৬ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদু্যৎ খাতে ১০.৫৬, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২.৬৩, সিমেন্ট খাতে ১২.৭৩, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩.৮৫, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৫.০৮, সাধারণ বিমা খাতে ১৬.৪৩ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৭.৬৩, টেক্সটাইল খাতে ২০.৯২, আইটি খাতে ২১.৬৬, প্রকৌশল খাতে ২২.৩৬, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪.১৭, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৫.০১, ট্যনারি খাতে ২৭.৪৬, আর্থিক খাতে ৩৩.৭৯, পাট খাতে ৩৬.১৫, সিরামিক খাতে ৩৬.৮৭ ও বিবিধ খাতে ৪৩.০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করে বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১১.৬৪ পয়েন্টে।
