আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবারও বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার আইসিই ফিউচার্স ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৩৯ সেন্ট বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্যারেলপ্রতি কেনাবেচা হয়েছে ৮৫ ডলার ৮২ সেন্টে।
অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডবিস্নউটিআই) দাম ৪০ সেন্ট বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮১ ডলার শূন্য ৩ সেন্টে।
উভয় বাজার আদর্শ আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১ শতাংশ কমেছিল। ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠায় চাহিদা কমেছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের। ফলে নিম্নমুখী প্রভাব পড়েছিল বৈশ্বিক দামে।
আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এএনজেড রিসার্চের বিশ্লেষকরা বলছেন, '?রাশিয়ার জ্বালানি তেল শোধনাগারগুলোয় বাধার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ফলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কার্গোর চাহিদা বেড়েছে। কিয়েভের হামলার কারণে রাশিয়ার মোট জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতার প্রায় ১২ শতাংশ প্রভাবিত হয়েছে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) পর্যন্ত উত্তোলন কমানোর নীতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক পস্নাস। বছরের শেষ প্রান্তিক নাগাদ জোটটি উত্তোলন কমাতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া লোহিত সাগর দিয়ে জ্বালানিটির বাণিজ্যপ্রবাহ লম্বা সময় ধরেই ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে সংকোচনের মধ্য দিয়ে যাবে পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজার। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে আইএনজি গেস্নাবাল মার্কেট রিসার্চ।
আইএনজি গেস্নাবালের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ থেকে বেড়ে ৮৭ ডলারে উন্নীত হতে পারে। তৃতীয় প্রান্তিকে ৮২ থেকে বেড়ে পৌঁছতে পারে ৮৮ ডলারে। আরও অনেক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।