রমজানে স্থিতিশীল মসলার পাইকারি বাজার
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর মসলার বাজার অস্থির হয়ে উঠলেও এ বছর স্থিতিশীল। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলার দাম কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত এসব পণ্যের দর।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সব ধরনের মসলার দাম সহনীয়। বর্তমানে ক্রেতা সমাগম অনেক কম। যে পরিমাণ মসলার সরবরাহ আছে, সেটা ক্রেতার চাহিদার তুলনায় বেশি। এ ছাড়া পেঁয়াজের বাজার অর্ধেকে নামায় অন্যান্য মসলার দাম সেভাবে বাড়েনি। ক্রেতা সমাগম না বাড়লে আগামীতে দাম আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, পাইকারি বাজারে ভারতীয় এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকায়। এক মাসে আগেও এই এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে এলাচের দাম কমেছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। ভারতীয় জিরা এক মাস আগে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৬৪০ টাকা এবং আফগানিস্তানের জিরা গত মাসে ৭০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকায়। এদিকে সিরিয়ার জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা প্রায় ১৫০ টাকা কমলেও অন্যান্য দেশের জিরার দামও বেশ কমেছে।
লবঙ্গ এক মাস আগে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড় হাজার টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা। দারুচিনি কেজিপ্রতি ৩৬০-৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এক মাসে আগে প্রায় একই দাম ছিল মসলাটির। দেশি জাতের শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৭০ টাকায়। নোয়াখালীর শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া হলুদ ২৫০-২৮০ টাকা, ধনিয়া মানভেদে কেজিপ্রতি ২৬০-৩৫০, জয়ফল ১ হাজার ৬০০, জয়ত্রী ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ ও তেজপাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।