পুঁজিাবাজারে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা দরপতন থেমেছে। বিগত সপ্তাহের শেষ দুই দিন সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১৮-২১ মার্চ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ২৬.৩৮ পয়েন্ট কমেছে। এর আগের সপ্তাহে ১৪৪.৭২ পয়েন্ট এবং তারও আগের সপ্তাহে ১৪১.৭৮ পয়েন্ট কমেছিল।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা কমেছে, যা আগের সপ্তাহ থেকে ১১.১৮ শতাংশ কম। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ৫৫৮ কোটি থেকে কমে ৪৯৬ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিদায়ী সপ্তাহের রোববার দেশের শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। যে কারণে বিদায়ী সপ্তাহে (১৮-২১ মার্চ) শেয়াবাজারে চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৬.৩৮ পয়েন্ট কমে ৫৯৪১.৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৬.৭৭ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,২৯৩.০৩ পয়েন্টে এবং ২০৫৭.৭২ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ১৩৩টির দর বেড়েছে, ২২৯টির দর কমেছে, ৩৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৭টির লেনদেন হয়নি।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য কমেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.২৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১২.১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে খাদ্য খাতের শেয়ারের। যে কারণে এখাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে সবচেয়ে বেশি লোকসানে রয়েছে। এখাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমেছে ২.৫৮ শতাংশ।
দর পতনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়ার। এখাতে শেয়ার দর কমেছে ২.০৪ শতাংশ। দর পতনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে জীবন বীমা। এ খাতে শেয়ারদর কমেছে ১.৯৮ শতাংশ।
এছাড়া আলোচ্য সপ্তাহে অন্য খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতে ১.৪০ শতাংশ, বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতে ১.০২ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ০.৮৬ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০.৮৪ শতাংশ, পাট খাতে ০.৮১ শতাংশ, চামড়া খাতে ০.৬৪ শতাংশ, ফার্মা ও রসায়ন খাতে ০.৬৩ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ০.৪৫ শতাংশ, সাধারণ বীমায় ০.৪৪ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.২৭ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ০.১৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারের। যে কারণে এ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে সবচেয়ে বেশি মুনাফায় রয়েছেন। এ খাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে ২.৯০ শতাংশ।