টানা ৮ কার্যদিবস দরপতনের পর বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক।
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তার আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ৪৯ হাজার কোটি টাকার ওপর কমে যায়। এ ছাড়া টানা চার সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমে ৭০ হাজার কোটি টাকার ওপর। একই সঙ্গে ডিএসইর প্রধান সূচক কমে ৫০০ পয়েন্টের ওপর।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার (২০ মার্চ) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই শেষ হয় দিনের লেনদেন।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩০৫টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির। এ ছাড়া ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ ছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭৭ পয়েন্টে।
এদিন সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।