বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করার সুপারিশ আইএমএফের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করার সুপারিশ আইএমএফের

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের কর নীতি মিশন বলছে, ৫ শতাংশ করহার তুলে দিয়ে ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা আয়ের ওপর প্রান্তিক করের হার ১০ শতাংশ করার পরামর্শ দিয়েছে।

তারা বলেছে, যে বিধান অনুযায়ী এনবিআর কর অব্যাহতি দিতে পারে সে বিধান থাকা উচিত নয়। সেই সঙ্গে বর্তমানে যেসব খাতে কর সুবিধা পায়, সেসব খাতের বিদ্যমান সুবিধার মেয়াদ শেষ হলে আর বাড়ানো উচিত নয়।

প্রতিনিধি দলটি বলছে, কর আদায় বাড়াতে আগামী অর্থবছর থেকে কোম্পানিগুলোর জন্য ইলেকট্রনিক ফাইলিং চালু করা উচিত। এ বছরের জুলাই থেকে আগামী অর্থবছর শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাজস্ব কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান ও আয়কর কর্মকর্তাদের সামনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন ডেভিড বার, অরবিন্দ মোদি এবং ডেভিড ওয়ান্টওয়ার্থের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলটি।

কর ছাড় বিষয়ে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিনিধি দলটি তাদের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যাহতি ও রেয়াতসহ প্রত্যক্ষ কর ব্যয়ের মোট প্রাক্কলিত পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া কর ভর্তুকির পরিমাণ ৮৫ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ৪০ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাক্কলিত প্রত্যক্ষ কর ব্যয়ের মোট পরিমাণ হবে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।

আয়কর আইন-২০২৩ এর ট্যাক্স হলিডে অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিনিধি দলটি আইনি বিধান বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছে। যেন কর প্রশাসন নিয়ম পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবসায়কে ছাড় দিতে না পারে।

তারা বলছে, খনিজ ও পেট্রোলিয়াম উত্তোলনের জন্য কর সুবিধা বাতিল করা উচিত। ট্যাক্স রিপোর্টিং উন্নত করতে আইএমএফ এনবিআরকে করপোরেট কর আওতাভুক্ত করতে ই-রিটার্ন চালু করার পরামর্শ দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে