বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক কমল ১৪৪.৭২ পয়েন্ট

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক কমল ১৪৪.৭২ পয়েন্ট

পুঁজিবাজারে গত চার সপ্তাহ ধরে দরপতন চলছে। অব্যাহত এ দরপতনে আতঙ্কে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরসীমা তুলে দেওয়ার ধকল সইতে পারছে না বাজার। অব্যাহত দরপতনের পরও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে পতনমুখী আরও একটি সপ্তাহ অতিবাহিত করল শেয়ারবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১০-১৪ মার্চ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৪৪.৭২ পয়েন্ট কমেছে। এর আগের সপ্তাহেও ১৪১.৭৮ পয়েন্ট কমেছিল। দুই সপ্তাহে মোট ২৮৬.৫ পয়েন্ট কমেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় এক হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা কমেছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩১.০৭ শতাংশ কম। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ৮১০ কোটি থেকে কমে ৫৫৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসে মোট দুই হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট চার হাজার ৫৩ কোটি ৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে এক হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪৪.৭২ পয়েন্ট কমে ৫,৯৬৮.০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্‌ সূচক ৩৬.০৯ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,২৯৯.৮০ পয়েন্টে এবং ২,০৫১.৫৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১১টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬৯টির দর বেড়েছে, ৩০১টির দর কমেছে, ৩১টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১০টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য কমেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.৫৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১২.২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ২.৬২ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ২.৬০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৯০.৩৭ পয়েন্ট ও ১০ হাজার ২৬১.৮৯ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসআই সূচক ২.১৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৪ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ২.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১০৮.৫০ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৮১১.৯৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২০৯.৯৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২৪৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭৬২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৭১ শতাংশ।

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১০ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, এস. এস. স্টিলের ৮০ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ৭১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬৯ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ৫৯ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আফতাব অটোমোবাইলসের ৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ফরচুন সুজ লিমিটেডের ৫১ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০.৩৩ শতাংশ। সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে এসএস স্টিলের ২৫.৫৮ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্টের ২১.৫২ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ২১.৪৭ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিমের ১৪.৪০ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ১৩.৫৫ শতাংশ, আরামিট লিমিটেডের ১২.৯৭ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১২.৭২ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১০.৫৭ শতাংশ এবং বিডিথাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ১০.১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে