চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনায় বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই সুদহার কমে যাওযার সম্ভাবনাও মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। খবর রয়টার্স।
আইসিই ফিউচারস ইউরোপে সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ ডলার ৬ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮২ ডলার ৯৮ সেন্টে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) এপ্রিল সরবরাহ চুক্তিতে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডবিস্নউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় ১ ডলার ১৫ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৮ ডলার ৭১ সেন্টে।
তথ্য বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন মোড় নেয়ায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গতকাল ইউক্রেন রাশিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় রসনেফটের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাশিয়ার আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে বানচাল করতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপ্রতি ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে। এমনটি ঘটলে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্যে বিনিয়োগ বাড়বে। এমন প্রত্যাশাও দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে।
আবারো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ওপেক পস্নাস। ফেব্রম্নয়ারিতে নির্ধারিত কোটার চেয়েও বেশি উত্তোলন করেছে জোটভুক্ত দেশগুলো।
জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলো ওপেক পস্নাস নামে পরিচিত। সরবরাহ কমানোর মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে লম্বা সময় ধরেই উত্তোলন কমানোর নীতি অনুসরণ করছে জোটটি। চলতি বছরের শেষ প্রর্যন্ত এ নীতি বহাল রাখা হবে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি জোটভুক্ত কয়েকটি দেশ এককভাবেও উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে উত্তোলন কমানোর লক্ষ্য অর্জনে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছে জোটটি।
ফেব্রম্নয়ারিতে ওপেক পস্নাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে জানুয়ারির তুলনায় খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে নির্ধারিত কোটার চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।
এসঅ্যান্ডপি গেস্নাবাল কমোডিটি ইনসাইটসের পস্নাটস সমীক্ষায় দেখা গেছে, জানুয়ারিতে জোটভুক্ত দেশগুলোর দৈনিক উত্তোলন দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে, যা নির্ধারিত কোটার চেয়ে দৈনিক ১ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল বেশি।