বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার

দুই মাস আগেও ক্রমো হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার পতন ঠেকাতে সরাসরি বৈদেশিক ঋণ-মুদ্রার সহযোগিতা নিতে হয়েছে। মার্চের শুরুতে অভ্যন্তরীণ মুদ্রা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সোয়াপ বা অদলবদল এবং প্রবাসী আয়ের প্রভাবে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন অতিক্রম করল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১১৫ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক মাসে আগেও এ রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার বা ১১৯ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

মার্চের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গঠিত তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৬৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাস আগে যা ছিল ২৫ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

ক্রমো হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন রোধে গত এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ, বৈদেশিক ঋণ বা আমদানিকে লাগাম টানা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা স্থিতাবস্থা রাখা সম্ভব হয়নি। মার্চের শুরুতে আইএমএফ ঋণ বা বৈদেশিক অন্য ঋণ ছাড়াই প্রবাসী আয় এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের মাধ্যমে মুদ্রা ২১ বিলিয়ন অতিক্রম করানো সম্ভব হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় আসা প্রবাসী আয় দেশে তাদের পরিবারের কাছে দেশি মুদ্রা টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। আর বিদেশি মুদ্রা স্ব স্ব ব্যাংকে মজুত থাকে। যার একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে