সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
ডিএসইর প্রধান সূচক কমল ১৪১.৭৮ পয়েন্ট
প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে দরপতন থামছেই না। ফলে পতনমুখী আরও একটি সপ্তাহ অতিবাহিত করল। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৩ থেকে ৭ মার্চ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৪১.৭৮ পয়েন্ট কমেছে। এর আগের সপ্তাহেও ১৯.৪২ পয়েন্ট কমেছিল।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৪৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেড়েছে, যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৫.৫২ শতাংশ বেশি। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ৮৭৭ কোটি থেকে কমে ৮১০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। লেনদেন বাড়লেও দৈনিক গড় লেনদেন কমার মূল কারণ ছিল আগের সপ্তাহে শবেবরাতের জন্য একদিন লেনদেন বন্ধ ছিল।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট চার হাজার ৫৩ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট তিন হাজার ৫০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৪৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪১.৭৮ পয়েন্ট কমে ৬,১১২.৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়া সূচক ২৩.৯৩ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩২.৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৩৫.৮৯ পয়েন্টে এবং ২,০৯৪.৩৪ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১১টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৫৯টির দর বেড়েছে, ৩২০টির দর কমেছে, ২২টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১০টির লেনদেন হয়নি।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য কমেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.৯৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১২.৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিগত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০৮ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৮৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৬৮ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ১১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩১ শতাংশ।
এছাড়া সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে আফতাব অটোমোটাইলসের ৮৯ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ফরচুন সুজের ৮৯ কোটি ৯০ হাজার টাকা, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ৭৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, সিটি জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ৭৫ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ৭২ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সানলাইফ ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮.০২ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জিকিউ বলপেনের ১৬.৩২ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ১৫.৭৬, ফাইন ফুডসের ১৩.১৪, ফু-ওয়াং সিরামিকের ১০.০৭, আফতাব অটোমোবাইলসের ৭.৬৩, প্যারামাউন্ট ইন্সু্যরেন্সের ৬.৭৮, বিকন ফার্মার ৫.২৫, আইবিবিএল মুদারাবা পারপিচু্যয়াল বন্ডের ৫.০৭ এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৩.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯.৫২ শতাংশ কমেছে।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে এপিএসসিএল নন-কনভার্টেবল অ্যান্ড ফুলিস্ন রিডিমেবল কুপন বেয়ারিং বন্ডের ১৮.৫২ শতাংশ, এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেকের ১৬.৯০, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১৬.৩৯, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ১৫.০০, মিথুন নিটিংয়ের ১৪.৯১, প্রাইম টেক্সটাইলের ১৩.৫২, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১৩.১৭, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালসের ১২.৭৬ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ১২.৬৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।