শেয়ারবাজারে দরপতন থামছেই না
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০৬
টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলো শেয়ারবাজারে। সবশেষ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১৩ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তবে সূচকে বড় ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। এতে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা গড়ানোর আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। সূচকের এই ঋণাত্মক প্রবণতা লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। কারণ দাম বাড়ার তালিকায় থাকা শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। লেনদেনের শেষদিকে দাম কমার প্রবণতা বাড়ায় সূচকের বড় পতন দিয়েই শেষ হয় দিনের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩২টির। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৩১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকয়টি মূল্যসূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি ৫ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সেন্ট্রাল ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৪১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিকস। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, লাভেলো আইসক্রিম, বেস্ট হোল্ডিং, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অলিম্পিক, ফরচুন সুজ এবং মুন্নু ফেব্রিক্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৪টির এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।