আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস দরপতন হলো। আর শেষ ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১২ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
এ দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণের। ফলে কমেছে সবক'টি মূল্যসূচক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও সবক'টি মূল্যসূচক কমেছে।
এ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই সূচকের বড় পতন হয়। লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের শেষদিকে সূচকের পতন প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। ফলে মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়েই শেষ হয় দিনের লেনদেন।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১৫টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়া সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবক'টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৮৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফু-ওয়াং সিরামিকসের ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, আফতাব অটোমোবাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, ওরিয়ন ইনফিউশ, বেস্ট হোল্ডিং, গ্রামীণফোন এবং অলিম্পিক এক্সোসরিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।