বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন

পুঁজিবাজারে পতনমুখী আরও একটি সপ্তাহ অতিবাহিত করল। অব্যাহত দরপতনের কারণে বিগত সপ্তাহে সূচক কমেছে। তবে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আগামী সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৫ থেকে ২৯ ফেব্রম্নয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৯.৪২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন বেড়েছে ৪ শতাংশের সামান্য বেশি।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেড়েছে, যা আগের সপ্তাহ থেকে ৪.১ শতাংশ বেশি। দৈনিক গড় লেনদেন ৮৪২ কোটি থেকে বেড়ে ৮৭৭ কোটি টাকায় ওঠে এসেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে চার কার্যদিবসে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট তিন হাজার ৫০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে মোট তিন হাজার ৩৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৯.৪২ পয়েন্ট কমে ৬,২৫৪.৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৭ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৫৯.৮২ পয়েন্টে এবং ২,১২৬.৮০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৪১০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ১৩৬টির দর বেড়েছে, ২৩২টির দর কমেছে, ৩১টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১১টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য বেড়েছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.৫০ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১৩.৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৫৩ শতাংশ।

লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৬০৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.০৯ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৭০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৬৫ শতাংশ।

এছাড়া সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১২ কোটি ২০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ৮৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার, জেমিনি সি ফুডের ৬৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৬১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার টাকার এবং তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইস-ক্রিম পিএলসির ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫.১৮ শতাংশ।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ২৪.৭২ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইকু্যইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১৯.৭২ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১৬.৪৮ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৫.৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের ১৫.০০ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইংয়ের ১৪.৩৫ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১১.৫৪ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১০.৪১ শতাংশ এবং বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের ৯.৫৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আরমিট সিমেন্টের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০.৭৬ শতাংশ কমেছে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসবিএসি ব্যাংকের ৯.৪৫ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডের ৯.৪৩ শতাংশ, এস্কয়ার নিটের ৯.৩২ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ৯.১১ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের ৯.০২ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ৮.২০ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৮.০০ শতাংশ, আইবিবিএল সেকেন্ড মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ডের ৭.৯৮ শতাংশ এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৭.৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে