চট্টগ্রামে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। দু-দিন আগে ব্রয়লার (সাদা) মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭০-৮০ টাকা। শনিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় একই মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো বাজারে ২২০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।
শনিবার সকালে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে মুরগি কিনতে আসা ইয়াছিন ভূইয়া বলেন, কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার (সাদা) মুরগি কিনেছি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি। কিন্তু একই মুরগি আজকে নিলাম ২১০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছাম দাম বাড়ায়। এটার একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
ব্রয়লারের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বেড়েছে সোনালী মুরগির দাম। সোনালী ও দেশি মুরগির দাম এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। শনিবার সকাল থেকে সোনালী বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি কেজি ৫৮০-৯০ টাকা দরে।
বিভিন্ন বাজারের মুরগির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, শবে বরাত পর্যন্ত বাড়তি থাকবে মুরগির দাম। পোলট্রি ফার্মের খামারিদের কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামারে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়তি।
ঝাউতলা বাজারের ক্রেতা হিমেল বলেন, কয়েক প্রকারের সবজি কিনেছি। আগামী শবে বরাতের জন্য কিছু মাংস কিনতে চেয়েছিলাম। দামে যে আগুন ধরেছে তাতে মাংস কেনা অসম্ভব। রমজান মাসে বাজার পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কর্পোরেট সিন্ডিকেটদের হাতে আমরা এখন কাঠের পুতুলে পরিণত হয়েছি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এখনই তদারকি কার্যক্রম জোরদার না করলে গত বছরের মতো এবারও ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে।
মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। তবে এর মধ্যেই নিজেদের বাজার ব্যবস্থাকে তীব্র করে তুলেছেন নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা। শবেবরাত ঘিরে মুরগির বাজারে লেগেছে দামের আগুন। পাঁচশ' তো দূরে, এখন হাজার টাকায়ও ভরে না বাজারের ব্যাগ। বাজার করতে গেলেই সাধারণ ক্রেতাদের চোখে ভাসে হতাশা!
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, 'চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে এখন বিশেষ চিত্র এটিই। বিয়ের মৌসুম অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ব্যবসায়ীরা চাহিদা বাড়তে দেখলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ভোক্তা অধিকারের সময় নেই বাজার মনিটরিং করার। তাই সাধারণ মানুষের উচিত পণ্যের দাম বেড়ে গেলে কেনা বন্ধ করে দেওয়া।'